রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:০৪

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
কোটি টাকার গাছ ১০ লাখে বিক্রি করলেন বন কর্মকর্তা সেলিম

কোটি টাকার গাছ ১০ লাখে বিক্রি করলেন বন কর্মকর্তা সেলিম

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্ক// অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বরিশাল ও গৌরনদী বন বিভাগের কর্মকর্তারা গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের কোটি টাকা মূল্যের গাছ ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগীরা এ অভিযোগ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের অধীনে ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের চালতাবাড়িয়া ব্রিজ থেকে বেবাজ্জ্যার খাল পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের দু’পাশে সামাজিক বনায়ন প্রকল্প গ্রহণ করে গৌরনদী বন বিভাগ।

১৯৯৯ সালের ১৮ অক্টোবর বরিশাল বন বিভাগ ও বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং প্রভাতি বনায়ন সমিতির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক বনায়নের চুক্তি সম্পাদন করা হয়। সুবিধাভোগী নুর-আলম সেরনিয়াবাতকে সভাপতি করে ১২৬ সদস্য নিয়ে প্রভাতি বনায়ন সমিতি গঠন করেন।

চুক্তি সম্পাদনের পর সবুজ বনায়ন প্রকল্পের আওতায় গৌরনদী বন বিভাগের অর্থায়নে সমিতির উদ্যোগে ওই বেড়িবাঁধের দুই পাশে রেইনট্রি, মেহগনি, কড়ই, শিশু, রাজকড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১২ সহস্রাধিক গাছের চারা রোপণ করেন।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষ সুবিধাভোগীরা শতকরা ৫৫ ভাগ, দ্বিতীয় পক্ষ পানি উন্নয়ন বোর্ড শতকরা ২০ ভাগ, প্রথম পক্ষ বন বিভাগ শতকরা ১০ ভাগ, টিএফএফ (পুনঃবনায়ন) শতকরা ১০ ভাগ, ইউপি পরিষদ শতকরা ৫ ভাগ ভোগ করবেন।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১২ কিলোমিটার বাঁধে সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের রোপিত গাছগুলো গত ১৯ বছরে কোটি টাকার সম্পদে পরিণত হয়েছে।

সুবিধাভোগী সমিতির সভাপতি/সহ-সভাপতির যোগসাজশে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যামে গৌরনদী ও বরিশাল বন বিভাগের কর্মকর্তারা সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে বাঁধের গাছগুলো পানির দরে বিক্রি করে দিয়েছেন।

গাছ বিক্রি করতে হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করে এনওসি চাইতে হবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় গাছ বিক্রি হবে তা যৌথ পরামর্শে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

কিন্তু বন বিভাগ পাউবোকে কিছু না জানিয়ে নিজের ইচ্ছামতো সিন্ডিকেট করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করে পানির দামে গাছ বিক্রি করেছে। এমনকি বিক্রীত গাছের আমাদের অংশের টাকাও দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে লিখিত চিঠি দেয়া হলেও বন কর্মকর্তারা কোনো জবাব দেননি।

অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে গৌরনদী বন বিভাগের এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম আহম্মেদ বলেন, সর্বোচ্চ দরে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। তাছাড়া বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়দায়িত্বে টেন্ডার আহ্বান ও কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, এনওসি নেয়ার বিধান নেই। টেন্ডার কমিটি যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করে টেন্ডার আহ্বান করে সর্বোচ্চ দরে গাছ বিক্রি করেছে। অভিযোগের সত্যতা নেই।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net